খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চায় না বাংলাদেশ, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহবান
  বাংলাদেশি আটকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে উৎসবে গাড়িচাপায় নিহত ৯
  কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি

মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

গেজেট ডেস্ক

মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী শিশুটির মা, প্রতিবেশী জলি খাতুন ও শিশুটিকে বহনকারী ভ্যানচালক রুবেল হোসেন।

তবে মাগুরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে আইনজীবী সোহেল আহম্মেদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে দেখা যায়। এতদিন আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এ মামলার পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সোমবার ধার্য করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার আলোচিত হত্যা মামলাটির আজ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালত তিনজন সাক্ষীকে তলব করেছিলেন। বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে। তাদের আইনজীবী আজকের সাক্ষীদেরকে জেরা করেছেন। বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা শোনেন। আগামীকাল এ মামলার ৩, ৪, ৫ নম্বর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

অন্যদিকে সাক্ষ্য শেষে শিশুটির মা ও মামলার বাদী বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। তাদের জন্য আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের এক শিশু। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!